সুন্দর শহরের ঝাপসা আলো-2

মায়ের এমন গলার স্বর সে আগে কখনো শোনেনি…খুবই পাতলা.. খুবই মিষ্টি….হমহমহম…শব্দ….সঞ্জয়ের কানে আসার পর থেকেই ওর শরীরটা কেমন কাঁপছিলো. মনে মনে ভাবলো..মা এমন কি করছে… যে মাকে এমন আওয়াজ করতে হচ্ছে… Bangla Coti Golpo

সঞ্জয়ের কৌতহলে মনে নানা রকম প্রশ্নের উদ্রেক হয়ে যাচ্ছে..তার মনে ভয় তৈরী হচ্ছে…সে দেখতে চায় মা এতো দেরি করছে কেন…ভেতরে কি করছে..আর ওই রকম শব্দ..দুস্টু দাদুটা মাকে মারছে নাতো…
নাহঃ…তাহলে তো মা চিৎকার করবে…কান্নাকাটি করবে…
মায়ের কান্নার কথা ভেবেই সঞ্জয় আরও ভয় পেয়ে উঠল..
না…আমি যাই..গিয়ে মাকে ডেকে নেবো..বলব অনেক দেরি হচ্ছে মা..বাড়ি যাবে না..?? Bangla Coti Golpo

আসতে আসতে সঞ্জয় ওই ঘরের দরজার দিকে পা বাড়ায়….এতো…
দরজা যে বন্ধ..এবার আমি ভেতরে যাবো কি করে…মনে মনে ভাবতে লাগলো সে..
নিজের হাত দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে দেখল দরজা ভেতর থেকে ছিটকানি লাগানো..

তাতে সঞ্জয়ের মনে আর কৌতূহল আর প্রশ্ন তৈরী হতে লাগলো…সাথে অজানা ভয়..একবার ভাবলো দরজায় টোকা দেবে…কিন্তু পারলো না, পাছে ওই দুস্টু লোকটা আবার না রেগে যায়.

হ্যাঁ ঐতো জানালা..ওখানে গিয়ে একবার দেখি মায়ের আর কতো দেরি..
সঞ্জয় পা বাড়িয়ে ওই জানালার দিকে যায়..
কিন্তু ভেতরে কি ঘটছে…সে দেখতে পায়না কারণ জানালা খোলা থাকলেও পর্দা টাঙানো আর জানালায় লোহার জাল লাগানো…
ভেতরে সমানে মায়ের মৃদু কম্পায়িত গলার ধ্বনি…তাকে অদ্ভুত বিচলিত করে তুলে ছিল. Bangla Coti Golpo

সঞ্জয় তখন একটু বুদ্ধি করে, মাথা উঁচিয়ে…দুটো আঙ্গুল দিয়ে বাইরে থেকে সামান্য পর্দা ফাঁক করে ভেতরে কি হচ্ছে তা দেখবার চেষ্টা করে….

ভেতরের দৃশ্য দেখে ওর হৃদপিন্ডে দামামা বেজে যায়…এমন দৃশ্য সে জীবনে কোনো দিন দেখেনি..এ এক নতুন অভিজ্ঞতা তার কাছে…খুব ভয় পেয়ে যায়…
মা চিৎ হয়ে শুয়ে আছে…আর ওই লোকটা মায়ের গায়ের উপর শুয়ে…শাড়িটা মায়ের নিচে থেকে কোমর অবধি ওঠানো, ডান পা টা পুরো দেখা যায়…আর ওই লোকটা খালি গায়ে লুঙ্গিটা বুকের কাছে..
কি যেন করছে মায়ের সাথে…লোকটা একবার কোমর টাকে উপরে উঠাচ্ছে আবার নিচে নামাচ্ছে.
আর মা ওই দুস্টু লোকটাকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে কেন…?? কি যেন গেঁথে দিচ্ছে মায়ের মধ্যে.আর তাতেই মা একটু উপর দিকে উঠে যাচ্ছে.
মায়ের এমন মুখ…সে কোনো দিন দেখেনি…মাকে হাসতে দেখেছে…কাঁদতে দেখেছে…ওর উপর রাগ করতে দেখেছে…কিন্তু এখন মা দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়াচ্ছে..চোখ বন্ধ করে আছে..ছটফট করছে কেন…মা কি ব্যাথা পাচ্ছে??
নাহঃ কারো ব্যাথা হলে কি এমন করে….? Bangla Coti Golpo
সঞ্জয়ের তা জানা ছিল না.
নিজের ভালোবাসা, মা জননী কে এই ভাবে দেখে সঞ্জয়ের শরীরে কেমন তরঙ্গ প্রবাহিত হতে লাগলো…শরীর আনচান করছে…সে ভাবতে লাগলো তার সাথে আগে এমন তো কখনো ঘটেনি..ব্যাকুল মন, জিজ্ঞাসু মন নিয়ে.
সে আর সেখানে থাকতে পারলো না..খুব শীঘ্রই সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে বাইরের দরজার কাছে এসে দাঁড়ালো.. মনে এক অজ্ঞাত ভয় আর জিজ্ঞাসা..সারা শরীর কাঁপছে..
জোরে জোরে হাঁফাছিল..
মা..!!! মা..!!! তুমি তাড়াতাড়ি করো..চলো আমরা বাড়ি যাব মনে মনে বলে উঠে সে …

পরক্ষনেই বাড়ির বাগানে ওই আম গাছে টিয়া পাখির ডাক শোনে সঞ্জয়..আরে একটা পাখির বাসা করেছে ওখানে..দেখল একটা বড়ো টিয়া ওর বাচ্চা পাখিকে খাওয়াচ্ছে আর পাশে একটা অজানা পাখি ওদের জ্বালাতন করছে…
সমস্ত মন ধ্যান ওই দিকে চলে যায় ঘরের কথা ,মায়ের কথা সাময়িক ভাবে ভুলে যায়…ইসস যদি ওর কাছে এখন একটা গুলতি থাকতো..তাহলে ওই দুস্টু পাখিকে মেরে তাড়াতো. Bangla Coti Golpo

ততক্ষনে সে ঘরের দরজা খোলার শব্দ পায়….মা বেরিয়ে আসছে…এই গরমে মায়ের সারা গায়ে ঘাম ঝরছে…একটু এলোমেলো লাগছিলো…

সামনে সঞ্জয়কে দেখে সুমিত্রা একটু থতমত খেয়ে যায়..

“মা…তুমি কতো দেরি করে দিলে…” সুমিত্রাকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে সঞ্জয়…

“হ্যাঁ রে…ওই দাদুটার..গায়ে হাত পায় ব্যাথা হচ্ছিলো তো তাই একটু মালিশ করে দিচ্ছিলাম”.
মায়ের কথা শুনে আর কোনো প্রশ্ন করে না সঞ্জয়…

সুমিত্রা সামনে এগোতে থাকে…পেছনে ছেলে সঞ্জয়…

হাঁটতে হাঁটতে সুমিত্রার হাতে মুঠি করা একটা কাগজে মোড়া জিনিসের দিকে নজর যায়…
মায়ের হাতে থেকে কেড়ে নেবার চেষ্টা করে সঞ্জয়, বলে “মা ওটা কি??… আমার জন্য কিছু আছে ওতে…”.
সুমিত্রা তখুনি নিজের হাত উপরে তুলে, ছেলের থেকে ওটাকে সরিয়ে নেয়…বলে, “ওটা কিছু না…”

সঞ্জয় আবার চুপ করে যায়…মাকে কিছু আর প্রশ্ন করে না…হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির দিকে রওনা হয়.

মনের কৌতূহল মনেই রেখে দেয়…

হয়তো ওতে সত্যিই তার জন্য মা চকলেট নিয়ে যাচ্ছে…বাড়ি গিয়ে দিয়ে দেবে. Bangla Coti Golpo

সারা রাস্তা সুমিত্রা ওটাকে ছেলের থেকে দূরে রেখেছিলো…
অবশেষে, বস্তির বাইরে একটা ঝোঁপে , এদিক ওদিক তাকিয়ে সে ওটাকে ছুড়ে ফেলে দেয়..
সঞ্জয়ের তা দেখে মন খারাপ হয়ে যায়…
ভেবে ছিল ওর জন্য চকলেট আছে ওতে কিন্তু তা নয়…

বাড়িতে এসে মা প্রথমেই কুয়ো তলায় জল দিয়ে নিজের হাতটা ভালো করে ধুয়ে নেয়..
সঞ্জয়ের মনে সন্দেহ হয়….কি ছিল ওটাতে….কৌতুহলী মনে নানা রকম প্রশ্ন উঠতে থাকে.

আজ সারাদিন তার কাছে একপ্রকার পরীক্ষার মতো কেটে গেছে…নানান ধরণের অজ্ঞাত প্রশ্ন তার কাছে এসেছে…যার উত্তর তার কাছে নেই…
এমন সংকট তার জীবনে এই প্রথম…

যাক আজ অনেক দেরি হয়ে গেছে…খেলাধুলার সময় নেই…মা এখন ঘরেই থাকবে..তাকে আর বাইরে যেতে দেবেনা…
থাক খেয়ে দেয়ে না হয় দুপুর বেলা মাঠে খেলতে যাবো..

আরে আমি তো ভুলেই গেলাম…ঐযে মা ওখানে কি ফেলেছিলো…ওটা আমি দেখবো…বিকেল বেলা…সাথে আসলাম কেউ নিয়ে যাব..
মনে মনে বলে সঞ্জয়…

তখনি, “সঞ্জয়…তাড়াতাড়ি স্নান করে নে…অনেক বেলা হয়ে গেল…”
মায়ের ডাক পায়…
“হ্যাঁ মা..যাই..” বলে সঞ্জয় স্নান করতে চলে যায়.

দুপুর বেলা খাওয়া দাওয়ার পর সঞ্জয় মাঠে খেলতে যাবে…তখনি ঘরে মায়ের দিকে নজর যায়…দেখে অনেক গুলো টাকা মা হাতে নিয়ে গুনছে…
সুমিত্রা চোখ তুলে দেখে সঞ্জয়…বাইরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে…”এই শোন…বাবু…”
বলে মা দেখে নেয় ছেলেকে…
“হ্যাঁ মা বলো…” বলে সঞ্জয়.
“এই নে..তোর টিউশনের টাকা…আজ বিকালে তোর মাস্টারমশাই কে দিয়ে দিবি…ভুলে যাসনা যেন…আর ঠিক মতো রাখিস…টাকা পয়সা হারিয়ে দিসনা যেন..”
বলে সুমিত্রা, সঞ্জয়ের হাতে টাকা ধরিয়ে দেয়…
“না মা…আমি টাকা হারাবো না…তুমি চিন্তা করোনা…আমি ঠিক মাস্টারমশাই কে টাকা টা দিয়ে দেব..”.সঞ্জয় তার মাকে বলে..
সঞ্জয় জানে…মায়ের কষ্টের উপার্জিত টাকা…তাই সে যত্ন করে…স্কুলের ব্যাগ খুলে তাতে একটা পেন্সিল বক্স আছে ওতে রেখে দেয়…
“মা আমি এখন খেলতে যাব..?? “
অনুমতি নেয় সঞ্জয়…
“হ্যাঁ যা…তবে বেশি দেরি করিস না…পড়তে যেতে হবে তোকে..” বলে মা সুমিত্রা. Bangla Coti Golpo

আজ মাঠে আসলামের সাথে দেখা হয়..সঞ্জয় তাকে খুশির খবর দেয়…যে আজ সে মাস্টার মশাই এর টাকা মিটিয়ে দেবে…

বিকালে খেলা শেষে বাড়ি ফিরে এসে, তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নেয়..টিউশন পড়া আছে..

ততক্ষনে সে ওই ঝোঁপের কথা ভুলেই গেছে…
টিউশন থেকে ফেরার সময় মনে এলো…তখন মা কি যেন একটা সেখানে ফেলে ছিল…ওটা আমার যেয়ে দেখার ছিল কিন্তু এখন দেখা যাবে কি…?

সাথে আসলাম ছিল…
“চল না আসলাম…একটু ওই দিকটা যাব…” বলে সঞ্জয়.
“কেন রে…কি আছে ওদিকে…” বলে আসলাম.
“চল না তুই আমার সাথে, দরকার আছে…” আবার বলে সঞ্জয়.
“না রে আজ এখন যাব না…এমনি তেই সন্ধ্যা হয়ে গেছে…তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে হবে..” বলে আসলাম বস্তির দিকে এগোতে থাকে.. Bangla Coti Golpo

সঞ্জয় ও মনে মনে বলে, আজ অনেক দেরি করে ফেলেছে..এমনিতেও অন্ধকারে ঝোঁপে ঢোকা ঠিক হবে না…কাল মনে করে একবার আসতে হবে…

বাড়ি গিয়ে সঞ্জয় দেখে ঘরে মা নেই.. দরজায় তালা…একটু চঞ্চল হয়ে ওঠে মন.
মা আবার এখন কোথায় গেলো…মনে মনে বলে ওঠে..
কিছু ক্ষণ পরেই দেখে মা..থলি হাতে করে বাড়ির দিকে আসছে…
“মা তুমি কোথায় গিয়েছিলে..? “ ব্যাকুল হয়ে প্রশ্ন করে সে..
“এই তো বাজার গিয়েছিলাম…” বলে সুমিত্রা..
মায়ের হাতের থলিতে দেখে…একটা পলিথিনে মুরগির মাংস…
উঃ অনেক দিন পর সে আজ মাংস খেতে পাবে..কি মজা…
পরক্ষনেই সঞ্জয়ের বাবাও রিক্সার হর্ন বাজাতে বাজাতে বাড়ি ফেরে..
রাতের বেলা সুমিত্রা ছেলের জন্য মাংস রান্না করে…..সঞ্জয়, মায়ের হাতের রান্না খুব পছন্দ করে..বেশ তৃপ্তি খায়..

খাবার সময় সুমিত্রা ওর ছেলের পাশে বসে থাকে…ছেলেকে খেতে দেখে ওর মন ভরে ওঠে…তাছাড়া বাড়িতে মাছ মাংস খুব কমই রান্না হয়.

সঞ্জয় একটু বেশি..মাছ মাংস রান্না পছন্দ করে..

সুমিত্রা আজ সারাদিনের সব ঘটনাবলী ভুলে গিয়ে…হাঁটুর মধ্যে মাথা দিয়ে, ঘাড় হিলিয়ে ছেলেকে খেতে দেখে…

পরেরদিন সকালে যথারীতি সুমিত্রা আর ওর বর পরেশনাথ নিজের কাজে বেরিয়ে যায়.. Bangla Coti Golpo

সঞ্জয় আজ মনে রেখেছে..তাকে ওখানে যেতে হবে…হ্যাঁ তবে স্কুল ফেরার পর…
আজ আসলাম স্কুল আসেনি…সুতরাং তাকে একাই যেতে হবে..

সারাদিন স্কুল করার পর বিকেল বেলা বাড়ি ফেরার সময় সঞ্জয় ওই ঝোঁপটার দিকে পা বাড়ায়..
এ রাস্তা সচরাচর ফাঁকায় থাকে…সেহুতু তার ঝোঁপে ঢুকতে কোনো বাধা হলো না.
হামাগুড়ি দিয়ে অনায়াসে সে ঝোঁপের মধ্যে প্রবেশ করল..
তারপর সে এদিকে ওদিকে তাকাতে থাকে…কই কোথায় সেই কাগজ মুড়ি…দেখতে পায়না সে.
স্থির হয়ে একবার মনে করার চেষ্টা করে…ঠিক কোথায় সেই কাগজ টা পড়ে ছিল..
হ্যাঁ ওই তো…
কিছুদূরে…শুকনো পাতার আড়ালে…হ্যাঁ ওখানেই পড়ে রয়েছে…সেই কাগজ খানি..
তবে সেটা ওর শরীর থেকে একটু দূরে হবে..

মন যখন জিজ্ঞাসু থাকে, কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না..

এ এক রহস্য উজ্জাপনের খেলা…মনের মধ্যে বড়ো কৌতূহল তৈরী হয়ে গিয়েছিল..
ওটা কি…?
মা সেদিন ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল…
সঞ্জয় হামাগুড়ি দিয়ে, নিজের মেরুদন্ড বেঁকা করে…ডান হাত অনেক টা প্রসারিত করে ওই কাগজ তার কাছে পৌঁছোয়.
ঝাপটে ধরে ওই কাগজ খন্ডকে মুঠির মধ্যে নিয়ে সটান বেরিয়ে আসে ঝোপ থেকে… Bangla Coti Golpo

আহঃ…এ এক খেলা জয়ের মতো আনন্দ…

মা সেদিন এটাকে হাতে নিতে দেয়নি…
কি জিনিস আছে এতে…বাইরে থেকে মনে হচ্ছে কোনো নরম জিনিস…পেলপেলে.
সে আর ধরে রাখতে পারলোনা নিজেকে…দেখি কি আছে..
আসতে আসতে কাগজের ভাঁজ খুলতে লাগলো সঞ্জয়..

বেরিয়ে পড়লো একটা অজ্ঞাত জিনিস..যেটা সে আগে কখনো দেখেনি…
একটা লম্বা বেলুনের মতো…সাদা রঙের…
হাত দিয়ে নাড়লে কেমন তেল তেল করে…
একি বেলুন নাকি….মনে মনে করে সঞ্জয়. Bangla Coti Golpo
মেলার সময় যে বড়ো গোল বেলুন পাওয়া যায়….না ফোলালে ঠিক ঐরকম…তবে এটা ওই বেলুন গুলোর থেকে অনেক লম্বা…অনেক বড়ো…

ভালো করে সঞ্জয় ওটাকে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করে..
বেশ তেল তেলে এই বেলুন টা…
আর এর ভেতরে এই সাদা রঙের জিনিস টা কি…?
ছিঃ…..বলে সঞ্জয় ওটাকে আবার ঝোঁপের মধ্যে ছুঁড়ে দেয়…আর সেটা একটা কাঁটা ঝোঁপের ডালে লেগে…ওই সাদা জিনিসটা টপটপ করে নিচে পড়তে থাকে…
সঞ্জয়…মুখ থেকে একরাশ থুতু বের করে ওয়াক থু…ফেলে দেয়…
নোংরা…নোংরা বলে…সেখান থেকে চলে আসে….
এবার তার অনুসন্ধিৎসু মন আবার এক নতুন কৌতূহলে ঢুকে পড়ে.
এ আবার কেমন জিনিস…ওটা মা নিয়ে কি করছিলো…হয়তো ওটা ওই দুস্টু লোকটার মাকে দিয়েছিলো ফেলে দেবার জন্য….তবে সেদিন বলল মা তেল মালিশ করছিলো…কিন্তু ও ভাবে কেউ তেল মালিশ করে কি…?
মনে মধ্যে নানা রকম শঙ্কা এই ক্ষুদে সঞ্জয়ের.

বাড়ি ফিরে মায়ের দিকে চেয়ে দেখে…সঞ্জয়….মায়ের বড়ো বড়ো চোখ..গাঢ় লম্বা ভ্রু আর টিকালো লম্বা নাক..কপালে ওই বড়ো বিন্দুর মতো লাল সিঁদুরের টিপ…

“কি দেখছিস অমন করে….” সুমিত্রা বলে ওঠে ছেলে সঞ্জয় কে… Bangla Coti Golpo
“না…মা…কিছুনা…” বলে সঞ্জয় হাত পা ধুতে চলে যায়…